খেলাধুলা ডেস্ক তিনি শচীন টেন্ডুলকারর স্কুল জীবনের বন্ধু। একসঙ্গে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের আঙিনা পেরিয়ে খেলেছেন জাতীয় দলে। কেউ কেউ মনে করেন, শচীনের চেয়েও প্রতিভাবান ছিলেন বিনোদ কাম্বলি। এমনও হয়েছে, আগেরদিন আকণ্ঠ মদ্যপান করে পরের দিন মাঠে নেমে সেঞ্চুরি করেছেন।কিন্তু এই বেপরোয়া জীবনযাপনই তার ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত হতে দেয়নি। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে ধাক্কা মেরেছেন আবাসনের দেওয়ালে। এই পঞ্চাশ বছর বয়সেও মদ্যপান ছাড়া তিনি থাকতেই পারেন না!জীবন তাকে এই মুহূর্তে এমন জায়গায় নিয়ে দাঁড় করিয়েছে, সেই মদ ছাড়তেও রাজি বিনোদ কাম্বলি। এর বদলে একটা চাকরি চান। চরম অর্থকষ্টে আছেন বিনোদ কাম্বলি। বিসিসিআই থেকে পাওয়া মাসিক ৩০ হাজার টাকা পেনশনে এখন আর সংসার চালাতে পারছেন না। তাই একটা চাকরি তার খুব প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যেই বলেছেন এই কথা। মদ্যপানের অভ্যাস থাকায় অতীতে বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন কাম্বলি। তিনি চান না, মদ্যপানের জন্য চাকরি পেতে কোনো সমস্যা হোক।এদিকে ভারতীয় ক্রিকেটাঙ্গনে গুঞ্জন আছে, প্রতিদিন বারে গিয়ে মদ না খেলে কাম্বলির চলে না। এই মাতলামির জন্যই তাকে কোনো ক্রিকেট সংস্থা চাকরি দিচ্ছে না। অথচ, তার সমসাময়িক অনেক সাবেক ক্রিকেটার কোচিং পেশায় এসে দিব্যি জীবন কাটিয়ে দিচ্ছেন। কাম্বলি এবার চাকরির জন্য মদ ছাড়তেও রাজি, ‘সব জায়গার কিছু নির্দিষ্ট নিয়মকানুন থাকে। সবাইকে তা মেনে চলতে হয়। যদি আমাকে চাকরি করতে হলে মদ ছেড়ে দিতে হয়, তাহলে আমি সঙ্গে সঙ্গে ছেড়ে দেব। কোনো সমস্যা হবে না। আমার কাজ দরকার।২০১৯ সালে মুম্বাই টি-টোয়েন্টি লিগে একটি দলের কোচ ছিলেন কাম্বলি। তারপর আর কোনো কাজ পাননি। সম্পূর্ণ বেকার। অনেকদিন ধরে একটা কাজ খুঁজছেন কাম্বলি। ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন, এমন কাজই তার পছন্দ। বাল্যবন্ধু শচীন তার জন্য একটি কাজের ব্যবস্থা করেছিলেন। নিজের টেন্ডুলকার মিডলসেক্স গ্লোবাল অ্যাকাডেমিতে তরুণ ক্রিকেটারদের মেন্টর হিসাবে নিয়োগ করেন কাম্বলিকে। কিন্তু দূরত্বের কারণে নিজেই সেই কাজ ছেড়ে দেন কাম্বলি।সাবেক ক্রিকেটার হিসাবে বোর্ডের কাছে মাসে ৩০ হাজার টাকা পেনশন পান কাম্বলি। কিন্তু তাতে মুম্বাইয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। কাম্বলি বলেছেন, ‘মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিএ) কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারব, এমন কোনো কাজ দিতে অনুরোধ করেছিলাম। আমাকে ক্রিকেট উন্নয়ন কমিটির সদস্য করা হয়। কিন্তু এই পদটা সাম্মানিক। নিজের সমস্যার কথা অনেকবার জানিয়েছি এমসিএ কর্মকর্তাদের। সভাপতি এবং সচিবের সঙ্গেও কথা বলেছি। কিন্তু তেমন আশ্বাস পাইনি।